অনলাইন ডেস্ক:
বিল গেটসকে টপকে বৃহস্পতিবার কিছু সময়ের জন্য বিশ্বের শীর্ষ ধনী হয়েছিলেন ই-কমার্স সাইট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ওই সময় তাঁর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৯ হাজার ১৪০ কোটি ডলারে।

ফোর্বস সাময়িকী বলছে, বৃহস্পতিবার অ্যামাজনের শেয়ারের দ্রুত মূল্যবৃদ্ধি হয়। এ কারণে কিছু সময়ের জন্য বিল গেটসকে টপকে যান বেজোস। পরে শেয়ারের দাম পড়ে যাওয়ায় শীর্ষ ধনীর আসন ফের গেটসের দখলে চলে যায়। ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী চলতি জুলাইয়ের হিসাবে মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের সম্পদের পরিমাণ ৮ হাজার ৯৮০ কোটি ডলারের। আর শেয়ারের দাম কমে বেজোসের সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮ হাজার ৮৭০ কোটি ডলারে। সব মিলিয়ে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় বেজোস এখন দ্বিতীয় অবস্থানে।

৫৩ বছর বয়সী বেজোস অ্যামাজনের ১৭ শতাংশ শেয়ারের মালিক। অন্য কয়েকটি ব্যবসায়ও তাঁর আগ্রহ রয়েছে।

সম্প্রতি প্রযুক্তি ব্যবসার বিকাশের কারণে বেজোস ও ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের মতো উদ্যোক্তারা সম্পদশালী হয়ে উঠেছেন। ফোর্বসের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় জাকারবার্গের অবস্থান পঞ্চম। জুলাই মাসের হিসাবে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৭ হাজার ৯০ কোটি ডলারের।

বিল গেটসের শীর্ষ ধনীর আসন শেষবার দখল করেছিলেন স্প্যানিশ ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান জারার প্রতিষ্ঠাতা আমানসিও ওর্তেগা। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি দুই দিনের জন্য বিশ্বের শীর্ষ ধনী হয়েছিলেন।

বেজোসকে নিয়ে মজার তথ্য
ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রাচীন বস্ত্রশিল্পবিষয়ক জাদুঘর ২ কোটি ৩০ লাখ ডলার দিয়ে কিনে নিয়েছেন বেজোস। এটি পারিবারিক বাড়িতে রূপান্তরিত করলে বেজোস যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতিবেশী হবেন। সেই সঙ্গে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প ও তাঁর স্বামী জেরার্ড কুশনারেরও প্রতিবেশী হবেন তিনি।

সিয়াটল এবং বেভারলি হিলেও বেজোসের পারিবারিক বাড়ি রয়েছে। বেজোস বলেন, বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশ যাত্রা প্রকল্প ব্লু ওরিজিনে তহবিলের জন্য তিনি প্রতিবছর অ্যামাজন স্টক থেকে ১০০ কোটি ডলারের পণ্য বিক্রি করেন।

সিয়াটলে প্রতিদিন পথচারীদের কলা দিয়ে আতিথেয়তা করেন বেজোস। প্রতিদিন ৪ হাজার ৫০০ জন মানুষের মধ্যে কলা বিতরণ করেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে প্রায়ই টুইট করেন বেজোস। সেখানে তিনি জনসেবার জন্য কীভাবে অর্থ ব্যয় করতে পারেন সে বিষয়ে পরামর্শ চান।